কৃষ্ণকান্তের উইল : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
🌺আজ বঙ্কিমবাবুর কৃষ্ণকান্তের উইল পড়িতে গিয়া এক মহাবিপত্তি ঘটিল। আন্তর্জাতিক বুকার দীর্ঘতালিকার বহিঃপ্রকাশকে এক প্রকারান্তে মনের আড়লে রাখিয়া দিলাম।
নীলৌৎপল যে প্রকারে জলের আড় ভাঙ্গিয়া আপনি ফুটিয়া উঠে। সেইরূপ আমার বোধপল্লবে ভ্রমরের ন্যায় এক ভাবনা অচিরাৎ খেলিয়া গেলো। ভাবিলাম এইকালে বঙ্কিম জীবন্ত থাকিলে অথবা বুকার তদসময়ে বিরাজমান থাকিলে কৃষ্ণকান্তের উইল উপন্যাসটি নিশ্চিতরূপে বুকারের দীর্ঘতালিকায় অর্ন্তভূক্ত থাকার সম্ভাবনা ফুটিয়া উঠিত।
হয়তো বা বাঙ্গলায় বঙ্কিমবুকার দেখিলেও দেখিতে পাইতাম।
তাই এই বেলায়, দীর্ঘতালিকার সকল উপন্যাসিক, অনুবাদক এবং সুবিশেষরূপে গল্পের চরিত্রসকলকে গুলাব পাশের বঙ্কিমীয় অভিনন্দন🌺
বাঙ্গলা, সংস্কৃত, আরবি, ফারসি, হিন্দি, উর্দু ও ইংরেজী ভাষার শব্দাবলী কৃষ্ণকান্তে সম্যভিব্যবহৃত হইয়াছে। সমগ্র বঙ্কিম পাঠকালে ভাষার এই সম্মিলিত আয়োজন না দেখিয়া বারংবার মনে মনে ভৎসনা করিয়া আসিতেছিলাম।
কনককাঞ্চনরোহিণী ও কৃষ্ণকালোভ্রমরকে রমণীয় ও মানবীয় রূপের নারী চরিত্রদ্বয় যেন এক প্রতীকি তাৎপর্য বহন করে।
📚কৃষ্ণকান্তের উইল
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
বঙ্গদর্শন, ১৮৮২ (১৮৭৮)
Comments
Post a Comment