শবরীমঙ্গল : কমলকুমার মজুমদার

সুহাসিনীর পিমেটম পড়ার সময় মনের ভেতর জল থৈ থৈ করে উঠেছিলো। আহা! যদি একবার কমলশব্দশেলীর চলিত রূপ কিংবা সমসাময়িক ভাষার রূপে পড়া যেতো। অচিরাৎ যখন শবরীমঙ্গল পড়া আরম্ভ করলাম। আমার মধ্যে মধুরতা ও তিক্তার এক মিশ্র অনুভূতি হতে লাগলো। একটা সময় তা এক সংশয়ে গিয়ে সমাপ্ত হলো। ভাবলাম, আসলেই কি তৎসমশূন্য এমন জলের মতো মিহি গদ্য কমলবাবুই কি লিখেছিলেন? কমলকুমারের নিজস্ব উপমা ”পদ্মপলাশ লোচন” শব্দগুচ্ছের অভাব বোধ করেছি পাতায় পাতায়। কিন্তু পলাশঘেরা শব্দদ্বেয়ে এসে যেনো দখিন হাওয়ার পরশ পেলাম। অখন্ড ভারতে উপনিবেশকালে ইংরেজ ও শবরদের সহাবস্থান সম্পর্কে এমন চিত্র খুব একটা পড়া হয়নি। সাহিত্যের শক্তি এখানেই যে সে জীবনকে বাস্তব ও মানবিক করে তুলতে পারে। শবরীমঙ্গল কমলকুমার মজুমদার রবিবাসর শারদ সংখ্যা, ১৯৮৩।