যোগোযোগ : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
"পিতেব পুত্রস্য সখেব সখ্যুঃ
প্রিয়ঃ প্রিয়ায়ার্হসি দেব সোঢ়ুম্।"
সংস্কৃত এই চরণদুটি যে সহনশীলতা ও সমবেদনার কতো বিশাল প্রেরণা, তা আমি হাড়ে হাড়ে বুঝি। এই ভাবখানি মনরাজ্য দখল করতে পারলে, সংসারের যত জঞ্জাল ও কোন্দলকে কতো সহজে আগ্রাহ্য করে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়, তা আমি নিয়তই স্বীকার করি।
উপন্যাসের প্রথম ভাগ পাঠ করে, মনে হলো পূর্বের উপন্যাস গুলো পড়ে যতোটা বেঠিক লাগলো তা থেকে উত্তরণ হয়েছে। পড়তে আরাম ও প্রফুল্লবোধ হচ্ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ভাগে এসে যেন রবিবাবুর স্বভাবগতভাবে চরিত্রের গল্পকে ছাপিয়ে চরিত্রের চিন্তা ও জগত-জীবন ব্যাখা-বর্ণনার সাধারণ বিবরণপথ সৃজনে ব্যপ্ত হলেন।
যবনিকায় এসে মনে হলো, রবিবাবুকে দোষী সাবস্ত না করাই শেয়। গল্প বলার এ রীতি ও ভঙ্গিখানি একান্তই তার স্বসৃষ্ট। কি লিখতে পারতেন বা কি লিখলেন না তার বিচার না করাই শ্রেয়। এই মানদণ্ডে রায় দিতে গেলে ইনফিনিট রিগ্রেসে পতিত হওয়ার সম্ভবনা আছে।
লেখক কেন আরো সৃজনশীল হলেন না। গল্প কেন আরো সম্ভবনাময় হলো না। এই প্রত্যাশা অযোক্তিক, ক্ষেত্রবিশেষ বাতুলতা মাত্র মনে করি।
নারী মর্যাদার মূল্য যেমন চিত্রিত হয়েছে। তেমনি পরাধীনতা নারীর শেষ ঠিকানা, এই আকরগুলো যেন মূলে ফুলে প্রভাসিত হয়ে উঠলো।
রবীন্দ্রনাথ নাথের মতো নারীবাদের বৈপরীত্য বা দ্বিমুখীতা নিয়ে তার পূর্বে কি এমন করে কেউ লিখেছে।
📘যোগোযোগ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৯২৯।
Comments
Post a Comment