কৃষ্ণকুমারী : মাইকেল মধুসূদন দত্ত

।মনের সুখই বড় সুখ।।

           ~কষ্ণা, পঞ্চমাঙ্ক, তৃতীয় গর্ভাঙ্ক

মধুশতাব্দীতে বঙ্গভূমিসমাজ রেখে সুদূর রাজস্থান ও মহারাষ্টের আন্তঃরাজ‍্যের রাজদখল ও বিবাহবিগ্রহ নিয়ে নাট‍্যগ্রন্থ রচনা কচ‍্যে বলে কতটা নিগ্রহ সহ‍্য করচ‍্যে তা বলতে পারবো না। কিন্তু আজ সামাজিকমাধ‍্যমের কালে মধুদা  ঢাকাই সাহিত‍্যলোক কর্তৃক কূটতর্কে বিলক্ষণ অপর্যস্ত হচ‍্যেন অনুমান করতে পারি।

।।যেমন কোন লবণাম্বুতরঙ্গ কোন সুমিষ্টবারি নদীতে প্রবেশ কর‍্যে তার সুস্বাদ নষ্ট করে, এ দুষ্ট যবনদলও সেইরূপ এদেশের সর্বনাশ করেছে।।।
~ভীমসিংহ, দ্বিতীয়াঙ্ক, প্রথম গর্ভাঙ্ক

নাট‍্যপটভূমিটি যবনশাসনের অন্তিমকালকই নির্দেশ করচ‍্যে। কিন্তু তখন হিন্দুজাতি যবনদের দুঃশাসনকে কিরূপ ভয়ানক ভাবতেন তা উক্ত উপমা দিয়ে বুচতে পারি। ভাগ‍্যের কি নির্মম পরিহাস ভরতকূল আরো একবার গোরা যবনদের পদতলে পতিত হয়েচিল।

জয়পুরের জগৎসিংহ, মরুরাজপুত মানসিংহ বা মহারাষ্টের নৃপতি নয়, চিতোরনন্দিনী পদ্মিনীর আত্মত‍্যাগের প্রেরণাই কৃষ্ণকুমারীকে সুরালোকে পথে নিয়েচ‍্যে।

ভেবে দেখেচ্চি, বড়লক্ষ‍্যে সর্বোচ্চ ত‍্যাগই মহাকালের পত্রপল্লবে অঙ্কিত রয়ে যায়। ত না হলে, শতশত বৎচ্চর পশ্চাদে আমরা চিতোরপদ্মিনী ও মধুকৃষ্ণাকে কি কারণে স্মরণ কচ্চি।



📙কৃষ্ণকুমারী
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
১৮৬১

Comments

Popular posts from this blog

শুদ্ধ দেশ: পলাশ মাহমুদ

The 2020 Booker Long List: The Fresh List in the Time of Solitude

সে রাতে পূর্ণিমা ছিল শহীদুল জহির