দুর্গেশনন্দিনী : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
নারীর আত্মপ্রকাশ ও আত্মপরিচয় সম্পর্কিত বাণী ও ব্যাখ্যাগুলি কি বিদ্যাসাগর হইতে অনুপ্রাণিত? বিষবৃক্ষ পাঠকালে তো তাহাই লক্ষ্য করিয়াছিলাম।
কমলকুমার পড়িবার ক্ষণে ভাবিয়াছিলাম যে সাধুবর্ণনাভঙ্গির সহিত কথ্য সংলাপ সংলাপ বুঝিবা তাহার স্বীয় সৃজন। কিন্তু বঙ্কিমের দুর্গেশনন্দিনী পাঠকালে দৃষ্টিগোচর হইলো ইহা বাঙলা উপন্যাসের আরম্ভ হইতে প্রচলিত আছে।
মোঘল মুসলমান শাহজাদার সহিত হিন্দু রাজপুত্রীর বিবাহ ( আকবরপুত্র সেলিম ও মানসিংহের ভগ্নি) কিংবা ব্রাহ্মণ রাজধিরাজের সঙ্গে শূদ্র কলীন কন্যার (বীরেন্দ্রসিংহ ও বিমলা) প্রণয় ও গোপণসংসার যাপন কি অসম্প্রদায়িকতার ইঙ্গিত বহন করিয়াছিলো?
বাঙলা ভাষাখানি শতসহস্র বিশেষণপদাবলী দ্বারা মধুমঞ্জুরীপুষ্পকুঞ্জের মতো সুশোভিত। পূর্ণিমার রজতালোকদ্বারা মধ্যরাত্রির চঞ্চল স্রোতস্বিণীনদীরতুল্য তরঙ্গায়িত যেনো। শ্রুভ্রবালিয়াড়ীপ্রান্তর মাঝারে এরূপ ভাষার নীলোৎপলসজ্জ্বিত তপোবন বিশ্বব্রহ্মান্ডে অপ্রতুল।
📙দুর্গেশনন্দিনী ব
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৮৬৫।
Comments
Post a Comment