পিঞ্জরে বসিয়া শুক : কমলকুমার মজুমদার
কমলশব্দ শৈলীতে অনেকটা অভ্যস্থ হয়ে উঠলাম এই পিঞ্জরে বসিয়া শুক এ এসে।
কাহিনির আঙ্গিক আর বর্ণনাশৈলীতে বহুভাষার এমন সম্মেলন সবসময়ই আমাকে আকৃষ্ট করে। যদিও আঞ্চলিক ও সংস্কৃতের সাথ ইংরেজি ভাষার সংযোজন নতুন মাত্রা দিয়েছে।
কিন্তু সেই সময় মানে বন্দেমাতরমের প্রভাতে, ভারত ছাড়ো আন্দোলনের মধাহ্নে, স্বরাজের অপরাহ্নে আরবি-ফার্সি-তুর্কি শব্দ হিন্দি, উর্দু ও পাঞ্জাবীর মতো বাংলা ভাষায়ও স্বাভাবিকভাবেই ব্যবহৃত হতো। এক কথায় অবিচ্ছেদ্য ছিলো।
কিন্তু কমলীয়বাক্যে এদের সাথে হরিজনের মতো দুরত্ব রাখা হলো কেন তা এক প্রকার কুহেলিকা। অনেকটা পিঞ্জরে বসিয়া শুকের মতো।
বাংলা সাহিত্যে বহুভাষার মিথস্ক্রিয়ার এই হরিজনীয় সীমাবদ্ধতাকে দূর করে একে কিভাবে আরো জননীয় মানে সবকিছু ধারন করতে পারে তাই ভাবচ্ছি।
১৯৩৪ সালের ভূমিকম্প আর অর্স্পশ্যতা নির্ভর এমন প্রত্যক্ষ ও প্রতীকী উপাখ্যান এই প্রথম পড়া।

কমলকুমার মজুমদার
এক্ষণ, ১৯৭৮ ।
Comments
Post a Comment